হেলাল হোসেন কবির: গত ১২ জুলাই হতে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের হাড়ীভাঙ্গায় অবস্থিত নতুন জীবন রচি নজীর হলরুমে সৎ, নিষ্ঠাবান ও সাহসী এবং তারুণ্যদীপ্ত সাংবাদিকদের বার বার বঞ্চিত করে নারী ও মেয়েদের অধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন মান বিষয়ক অধিকার সুরক্ষাকারীদের প্রশিক্ষণ চলছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থায়নে নিউজ নেটওয়ার্ক ও উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস)র প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরাম লালমনিরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে লালমনিরহাটে নারী ও মেয়েদের অধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন মান বিষয়ক অধিকার সুরক্ষাকারীদের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী নির্বাচনে ইউএসএসের প্রোগ্রাম ফ্যাসিলিটেটর আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, সৎ, নিষ্ঠাবান ও সাহসী এবং তারুণ্যদীপ্ত সাংবাদিকদের বার বার বঞ্চিত করে লালমনিরহাটে নারী ও মেয়েদের অধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন মান বিষয়ক অধিকার সুরক্ষাকারীদের প্রশিক্ষণ চলমান রেখেছেন। লালমনিরহাটে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন ও টেলিভিশনের বহুল সংখ্যক সাংবাদিক, মিডিয়া গেটকিপার্সদের বঞ্চিত করে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরাম লালমনিরহাট জেলা শাখা তাদের খেয়াল খুশিমতো পছন্দের লোকদের এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করাচ্ছেন।
আরও জানা যায়, স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক, মিডিয়া গেটকিপার্স শুধু নয় সিভিল সোসাইটি প্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটেছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক সৎ, নিষ্ঠাবান, সাহসী ও তারুণ্যদীপ্ত সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী বলেন, আমরা নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরাই এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেই? তাহলে বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান প্রকল্পের এ কার্যক্রমটি মুখ থুবড়ে পড়বে নিশ্চয়ই।
প্রথমে যারা জড়িত ছিলো তাদের অনেককে ট্রেইনিং এ দেখা যায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস)র প্রোগ্রাম ফ্যাসিলিটেটর আব্দুর রউফ সাপ্তাহিক আলোর মনি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি তো সবাইকে চিনিনা, এখানকার কমিটি যাদের তালিকা দিয়েছে তাদেরকে নেওয়া হয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস)র প্রোগ্রাম ফ্যাসিলিটেটর আব্দুর রউফ সাপ্তাহিক আলোর মনি অনলাইনকে আরও বলেন, ‘যারা ট্রেইনিং করছে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন কি ধরনের ট্রেইনিং হচ্ছে।’
উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের ৬ জুন বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান প্রকল্পের শুভ সূচনা সেমিনার ও ২০১৯ সালের নভেম্বরে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা : ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ, নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও দায়মুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছিল।